গাজীপুরে রাতের অন্ধকারে চলে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ,কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
গাজীপুরে রাতের অন্ধকারে চলে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ,কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান,গাজীপুর মহানগরের গাছা অঞ্চলে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবৈধ সংযোগ দিচ্ছেন॥
সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত গাজীপুর মহানগরের গাছা অঞ্চলে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান শেষ না হতেই তিতাস গ্যাস কোম্পানীর কতিপয় অসাধু ঠিকাদার মোটা অংকের বিনিময়ে রাত-দিন এসব অবৈধ সংযোগ পুনরায় চালু করছেন। গাজীপুর তিতাস গ্যাস অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিতাস গ্যাস কোম্পানীর কালো তালিকাভূক্ত ঠিকাদার সোলেমান মুন্সি ও তার ছেলে ফয়েজ মুন্সি, বাবু মুন্সি,মেয়ে জামাতা বেলায়েত হোসেন গাছা এলাকায় প্রতিদিনই কোন না কোন অবৈধ সংযোগ দিচ্ছেন।অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সরেজমিনে জানা যায় । গত মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় বোর্ড বাজার কামাড়ের গলি সংলগ্ন দুই ইটালি প্রবাসীর দু’টি বহুতল ভবনে অবৈধ সংযোগ চালু করেন।
সম্প্রতি ভ্রমম্যমাণ আদালত বাড়ি দুটিতে অবৈধভাবে অতিরিক্ত চুলা ব্যবহারের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাইজার খুলে নিয়ে যায়। বাড়ি দুটির মালিক তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ফয়েজ মুন্সির সহায়তায় নতুন রাইজার লাগিয়ে পুনরায় সংযোগ চালু করেন। স্থানীয়রা জানান, সোলেমান মুন্সি ও তার ছেলে অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বৈধ সংযোগ বন্ধ হওয়ার পর ফয়েস মুন্সি রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে গলাগাছে পরিণত হয়েছেন। গত কয়েক বছরে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। স্থানীয় বোর্ড বাজার এলাকায়ই ৩টি বহুতল বাড়ি করেছেন। বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে আরো একাধিক প্লট। অবৈধ সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের মামলায় তারা বাব-ছেলে জেলও খেটেছেন। এছাড়া স্থানীয় সাইনবোর্ড এলাকার শরিফ, কাজল, শামীম ও গাছা রোডের ফকির মার্কেট এলাকার জয়নাল তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অপর একটি সূত্র জানায়।